শনিবার, ৩ জুলাই, ২০১০

উইন্ডোজ ডেক্সটপ এর জন্য ফেইসবুকের কিছু প্রয়োজনীয় এপ্লিকেশন

ফেসবুক এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে । আর সেই সাথে এর ব্যবহারকে সহজ করার জন্য বিভিন্ন এপ্লিকেশন ডেভেলপ করা হচ্ছে । এই পোষ্ট এ আমি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব ঊইন্ডোজ ডেক্সটপের জন্য ফেইসবুকের কিছু প্রয়োজনীয় এপ্লিকেশনের সাথে। নিচে আমি একটি একটি করে এপ্লিকেশন গুলোর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিঃ

১. ফেইসবুক ডেক্সটপঃ

screen

এটি এমন একটি এপ্লিকেশন যা আপনাকে রিয়েল টাইম আপডেট দিবে,ওয়াল পোষ্ট ও ম্যাসেজ দেখা এবং ফ্রেইন্ড রিকোয়েষ্ট পড়ার সুবিধা। এটি খুবই ভালো একটি এপ্লিকেশন।

২. ফেইসবুক ফটো আপলোডারঃ

mainwindow

এটি গুগোল কোডের ডেভেলোপ করা এমন একটি ছোট এপ্লিকেশন। যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে সরাসরি ফটো বা ছবি আপলোড করতে পারবেন এবং আপলোডকৃত ছবিতে ট্যাগ যোগ করতে পারবেন। এটি খুব ভালো একটি এপ্লিকেশন না এবং এটাতে কিছু বাগ রয়েছে। কিন্তু এটির একটি জিনিস আমাকে খুবই আশ্চার্য করেছে। তা হলো এটি ব্যাবহার করা খুবই সহজ।

৩. ফেইসবুক নটিফাই ট্রেঃ

tray

যারা তাদের ডেক্সটপে ফেইসবুকের নটিফিকেশন গুলো পেতেচান তাদের জন্য হলো এই ছোট এপ্লিকেশনটি। এটি খুবই লাইট ওয়েট বা ছোট এপ্লিকেশন। এপ্লিকেশনটি চালু করার পর এটি আপনার উইন্ডোজ এর টাস্কবারে অবস্থান করবে ফেইসবুকের নটিফিকেশন গুলো আপনাকে দেখানোর জন্য।

৪. এফবি লুকঃ

app_1_7229743486_9504

এই এপ্লিকেশনটা খুবই উপকারী তাদের জন্য যারা মাইক্রোসফট আউটলুক ব্যাবহার করেন। এই এপ্লিকেশনটির সাহায্যে আপনারা সরাসরি ফেইসবুকের ওয়েব সাইটে না ঢুকেও আপনার স্ট্যাটাস আপডেট,নটিফিকেশন দেখা এবং রিকোয়েষ্ট সব কিছু করতে পারবেন মাইক্রোসফট আউটলুক দিয়ে আপনার ডেক্সটপে বসেই।

৫. এফবি কুইকঃ

2009-12-04_164201

যদি আপনারা এমন একটি স্টাইলিশ ও সুন্দর ডিজাইন এর এপ্লিকেশন চান যা দিয়ে আপনারা আপনাদের পিসিতে বসে ফেইসবুকের অনেক ফাংশন ব্যাবহার করতে পারবেন। তাহলে বলবো আপনারা এফবি কুইক এপ্লিকেশনটি ব্যাবহার করুন। কারন এটি আপনাদের প্রোফাইল নটিফিকেশন্স্‌ , ছবিতে ট্যাগ লাগানো, পোকস্‌ এবং ম্যাসেজ সুবিধা দিবে। কিন্তু এটি দিয়ে কোন কিছু আপডেট করা যায় না।

একদম ফ্রীতে ৬০০ এর বেশি ম্যাগাজিন পড়ুন অনলাইনে

আমরা প্রায় সবাই বিভিন্ন ধরনের ম্যাগাজিন পড়ি । তবে আজকাল কাগজের ম্যাগাজিনের যায়গা ধীরে ধীরে দখল করে নিচ্ছে অনলাইন ম্যাগাজিনগুলো । আর অনেক কাগজের ম্যাগাজিনেরও অনলাইন ভার্ষন রয়েছে । আজ এমন একটি ওয়েব সাইট নিয়ে লিখব, যেখানে প্রায় ৬০০ এর বেশি ম্যাগাজিন পড়া যাবে অনলাইনে । MaggWire নামক দারুন একটি সাইট আপনাকে এই সুবিধা দিচ্ছে । Pc World, Wired, Forbes, Fortune, WebUser, Money, InStyle এর মত প্রায় সব জনপ্রিয় ম্যাগাজিন এখানে রয়েছে ।

2009-12-04_060359

Businees and News, Technology, Sports, Entertainment, Food and Dining, LifeStyle ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে জনপ্রিয় ম্যাগাজিনগুলোর বিভিন্ন আর্টিকেল । এছাড়াও প্রতিটি ক্যাটাগরিতে রয়েছে আরো কিছু সাব ক্যাটাগরি ।

2009-12-04_055849

এখান থেকে যে কোন আর্টিকেলের হেডলাইনে ক্লিক করে এটি পড়া যাবে । আর তাই এখনি চলে যান MaggWire এ এবং খুঁজে নিন আপনার পছন্দের ম্যাগাজিন

মোবাইল ফোন থেকে ব্রাউজিং সুবিধা যুক্ত করা হল বিজ্ঞান প্রযুক্তি.com এ

আজকাল অনেকেই মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন ব্লগ ব্রাউজ করে। আর তাই বিজ্ঞান প্রযুক্তি.com এ যুক্ত করা হল মোবাইল ব্রাউজিং সুবিধা । এখন থেকে ইউনিকোড সাপোর্টেড যে কোন মোবাইল ফোন থেকে Opera Mini অথবা ডিফল্ট ব্রাউজার ব্যবহার করে বিজ্ঞান প্রযুক্তি.com ব্রাউজ করা যাবে ।

biggan projukti mobile

আপাতত যে মোবাইল টেমপ্লেটটি ব্যবহার করা হয়েছে তা খুব একটা উন্নত মানের নয় । তাই শুধুমাত্র প্রথম পাতায় থাকা সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ পড়া যাবে এবং মন্তব্য করা যাবে । তবে খুব শীঘ্রয়ই আরও অধিক সুবিধা যুক্ত করে নতুন টেমপ্লেট ডিজাইন করা হবে । এ সম্পর্কিত পরবর্তী আপডেট পেতে বিজ্ঞান প্রযুক্তি.com এর সাথেই থাকুন …

আপনার Usb Flash Drive এর জন্য ১০টি দারুন পোর্টেবল এপ্লিকেশন

অনেক সময় আত্নীয় স্বজন অথবা সাইবার ক্যাফেতে কম্পিউটার ব্যবহারের সময় প্রয়োজনীয় অনেক এপ্লিকেশন পাওয়া যায় না। সাইবার ক্যাফেতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গেস্ট একাউন্ট দিয়ে ঢুকতে হয় যার ফলে কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করা যায় না। আমার যখন কম্পিউটার ছিলনা তখন আমি নিজেও এ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। ফায়ারফক্স ইন্সটল করা থাকত না বলে বাধ্য হয়ে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এর মত ফালতু ব্রাউজার ইউজ করা লাগতো। আপনারা যারা এই সমস্যায় আছেন তারা খুব সহজেই এর সমাধান করতে পারেন। এর জন্য আপনার শুধু দরকার হবে একটি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ যাকে আমরা অনেকে পেন ড্রাইভও বলে থাকি। কম্পিউটার ব্যবহার কিংবা ইন্টারনেট সার্ফিং এর সময় আপনার প্রয়োজন হতে পারে এমন ১০টি পোর্টেবল সফটওয়্যার নিয়ে আজকে লিখব যেগুলো আপনি সহজেই আপনার পেন ড্রাইভে বহন এবং প্রয়োজনের সময় ইন্সটলেশন ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন।

1. Portable Firefox

ফায়ারফক্স এর বিকল্প ফায়ারফক্স নিজেই। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এর দিন শেষ হয়ে আসছে। কারো বাসায় বা সাইবার ক্যাফেতে ফ্ল্যাশ ড্রাইভে ইন্সটল করে নিয়ে যেতে পারেন পোর্টেবল ফায়ারফক্স এবং যখন যেখানে খুশি সাচ্ছন্দে ব্রাউজ করতে পারেন ইন্টারনেট।

2. Filezilla

ফ্রী এফটিপি সফটওয়্যার হিসাবে FileZilla অত্যন্ত জনপ্রিয়। এখন থেকে সাইবার ক্যাফে অথবা কারও বাসা থেকে পোর্টেবল FileZilla ব্যবহার করে FTP এক্সেস করতে পারবেন সহজেই।

3. Foxit PDF Reader

Foxit Reader সম্পর্কে আমার আগের পোস্টও লিখেছিলাম। অসাধারন এই এপ্লিকেশনটি ফ্ল্যাশ ড্রাইভে বহন করে PDF ফাইল ওপেন করুন আরও দ্রুততার সাথে যেখানে ইচ্ছা।

4. CDBurner XP

সাধারন সিডি বার্নিং এর কাজ করার জন্য বিশাল আকৃতির Nero CD Burner ইন্সটল করার কোন প্রয়োজন নেই। CDBurner XP ব্যবহার করে সিস্টেমের উপর কোন চাপ না ফেলে সহজেই সিডি বার্ন করুন ঘরে অথবা বাইরে।

5. CCleaner

পিসি থেকে ময়লা আবজর্না মানে ও প্রয়োজনীয় ফাইল পরিস্কার করতে এর জুড়ি নেই। এটি ব্যবহার করে সাইবার ক্যাফের কচ্ছপ গতির পিসিটিকে হয়ত একটু ফাস্ট করে দিতে পারবেন।

6. Revo Uninstaller

এটি ব্যবহার করে যে কোন সফটয়্যার সম্পূর্নরুপে আনইন্সটল করতে পারবেন। এর সাহায্যে সফটওয়্যার এর রেজিস্ট্রি এন্ট্রিগুলোও মুছে ফেলতে পারবেন যা পিসিকে গতিসম্পন্ন করতে সহায়ক।

7. Pidgin

যারা Pidgin ইন্সট্যান্ট ম্যাসেঞ্জার এর ভক্ত তারা এর পোর্টেবল ভার্শনটিও ব্যবহার করতে পারেন।

8. Notepad++

নোটপ্যাড++ নোটপ্যাডের মতই তবে আরও কিছু বেশি ফিচার সমৃদ্ধ। সাধারন কাজ অথবা প্রোগ্রাম লেখার ক্ষেত্রে এটি দারুন সুবিধাজনক।

9. Faststone Capture

স্ক্রীনক্যাপচারিং টুল হিসাবে Faststone Capture এক কথায় অসাধারন। এর দারুন কিছু ফিচার এর কারনে এটি শুধুমাত্র একটি স্ক্রীনক্যাপচারিং টুলই নয় বরং একই সাথে ইমেজ এডিটর ও।

0. VLC Player

প্রায় সব ধরনের মিডিয়া ফাইল চলে বলে vlc মিডিয়া প্লেয়ার যথেস্ট জনপ্রিয়। এর পোর্টেবল ভার্শন বহন করে ফ্ল্যাশ ড্রাইভে বহন করে অন্য কারও পিসিতেও সব ধরনের মিডিয়া ফাইল চালাতে পারবেন ঝামেলামুক্ত ভাবে।

নকিয়ার নতুন চমক! Nokia Booklet 3G মিনি ল্যাপটপ (আপডেট)

বিশ্বে প্রথম বারের মত সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল কোম্পানী নকিয়া তাদের তৈরী মিনি ল্যাপটপ বাজারে এনেছে। তারা তাদের তৈরী এই ল্যাপটপ টির নাম দিয়েছে “নকিয়া বুকলেট থ্রিজি [Nokia Booklet 3G]“। এই মিনি ল্যাপটপ টি বাজারে ছাড়ার মাধ্যমে নকিয়া কোম্পানী আরো একধাপ এগিয়ে গেল। নকিয়া মনে করছে তাদের মোবাইল ফোন গুলোর মত এই নকিয়া বুকলেট থ্রিজি মিনি ল্যাপটপ টি জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।

চিত্রঃ নকিয়া বুকলেট থ্রিজি মিনি ল্যাপটপ।

এছাড়া নকিয়া কোম্পানী খুবই আশাবাদী তাদের এই মিনি ল্যাপটপ টি নিয়ে। তারা মনে করছে তারা মোবাইল ফোনের পাশাপাশি ল্যাপটপের বাজারটাও ধরতে পারবে। তারা আরো বলেছে একজন আধুনিক ল্যাপটপ ব্যবহারকারীর যা যা প্রোয়োজন তার প্রায় সবটুকুই এই মিনি ল্যাপটপ টি পূরন করবে। নকিয়া তাদের এই বুকলেট থ্রিজি মিনি ল্যাপটপ টি সাদা, কালো ও নীল এই তিনটি সুন্দর মনোরম রঙ এ নকশা করেছে।

চিত্রঃ তিনটি আকর্ষনীয় রঙ এ নকিয়া বুকলেট থ্রিজি

নকিয়া বুকলেট ৩জি এর ফিচার সমূহঃ

  • ১২ ঘন্টার ব্যাটারী লাইফ
  • উইন্ডোজ ৭ এবং ইন্টেল এটম প্রসেসর Z৫৩০, ১.৬ GHz
  • ১৯.৯ মি.মি. পাতলা এল্যুমিনিয়াম এর তৈরী
  • সাদা, কালো, নীল এই তিনটি ভিন্ন রঙ এর ডিজাইন
  • বিল্ট ইন WLAN এবং WWAN সক্রিয় যেকোন সময় যেকোন জায়গায় ইন্টারনেট এর সাথে সংযোগ করার জন্য WIFI ও সেলুলার নেটওয়ার্ক এর সাহায্যে
  • বিল্ট ইন মোবাইল সীম স্লট
  • থ্রিজি, জিপিএস, ব্লুটুথ
  • ওভি স্যুইট ২.০
  • Nokia Music for PC
  • ওভি ম্যাপস
  • নকিয়া সফটওয়্যার আপডেটার
  • সোশ্যাল হাব – keeps track of your social software feeds in one spot and serves as a SMS sender
  • মেমোরি র‌্যামঃ ১ জিবি ডিডিআর২, ৫৩৩ Mhz
  • হার্ডডিস্কঃ ১২০ জিবি, ১.৮ ইঞ্চি/৫mmH/সাটা, ৮ এম বি ক্যাশ, ৪২০০ আর পি এম
  • ডিসপ্লে ১০.১ ইঞ্চি, ১২৮০×৭২০ পিক্সেল, গ্লাস উইন্ডো
  • ব্যাটারি ১৬ সেল, ৫৬.৮ Wh, Li-Ion prismatic
  • ১ x HDMI পোর্ট
  • ৩ টি USB পোর্ট
  • ১ টি কার্ড রিডার স্লট
  • ১.৩ মেগা পিক্সেল front facing ক্যামেরা সাথে বিল্ট ইন মাইক্রোফোন

সফটওয়্যারঃ

  • অপারেটিং সিষ্টেমঃ উইন্ডোজ ৭ , হোম প্রিমিয়াম বা প্রোফেশনাল
  • এমএস অফিস স্মল বিজনেস ৬০ দিনের ট্রাল
  • এমএস ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৮
  • হার্ডডিক্স নিরাপত্তার ইউটিলিটি, হট কী ইউটিলিটি, Knock কন্ট্রোল ইউটিলিটি, পাওয়ার প্রোফাইল স্যুইচার, ব্যাটারি লাইফ ইউটিলিটি
  • নকিয়া আপডেট ম্যানেজার
  • ওভি স্যুইট
  • ওভি ম্যাপস গ্যাজেট
  • স্যোসিয়াল হাব
  • F-Secure Internet Security ২০১০ ট্রায়াল

আরো বিস্তারিত ধারনা পাবার জন্য নিচের দুইটি ভিডিও দেখতে পারেনঃ

ভিডিওঃ একজন ব্যাবহারকারী প্রতিদিন কিভাবে ব্যাবহার করছেন

ভিডিওঃ নকিয়া বুকলেট 3G মিনি ল্যাপটপ এর ফিচার গুলো

নতুন সংযোজন

Amazon.co.uk তে Nokia Booklet 3G Mini Laptop With Windows 7 – Ice White ও Black এই মডেল দুটির মূল্য ধরা হয়েছে £698.97 পাউন্ড। অর্থাৎ যার মূল্য বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮০,০০০ টাকার কাছা কাছি।

বিদ্যুৎ বিহীন ট্র্যানজিসটার রেডিও তৈরির কৌশল

ইদানিং নতুন কিছু F.M Radio স্টেশন চালু হওয়ার কারনে রেডিও এর জনপ্রিয়তা আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনিও ইচ্ছা করলে খুব সহজেই এমন একটি রেডিও তৈরি করতে পারেন। রেডিওর প্রধানত দুটি অংশ থাকে। প্রথমটি হল প্রেরক অংশ যেখান থেকে শব্দ ইত্যাদি পাঠানো হয়। কেউ গান গাইলে বা কথা বললে সেই শব্দকে এক বিশেষ প্রক্রিয়ার সাহায্যে বিদ্যুৎ চৌম্বিক(Electro magnatic) তরঙ্গে পরিণত করে বাতাসে ছাড়িয়ে দেওয়া এই অংশের কাজ।এই কাজটি বিভিন্ন বেতার কেন্দ্র (Radio Station) করে থাকে। দ্বিতীয় অংশে বাড়িতে এরিয়ালে এই তরঙ্গ ধরে তাকে গ্রাহকযন্ত্রের সাহায্যে শব্দে পরিণত করা হয়। আর এই শব্দই আমরা শুনে থাকি। ইচ্ছে করলে আমরাও একটি ছোট গ্রাহকযন্ত্র (Radio Receiver ) তৈরি করে গান-বাজনা শুনতে পরি। বলা বাহুল্য এই গ্রাহকযন্ত্রর জন্য কোন প্রকার বৈদ্যুতিক শক্তির প্রয়োজন হবে না।

FM Radio without power

এই ট্র্যানজিসটার রেডিও সার্কিটটি ট্র্যানজিসটারের সবচেয়ে সহজতম সার্কিট। এই সার্কিটে একটিমাত্র কয়েল ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেটি বাজারে প্রচলিত যেকোনো স্ট্যান্ডার্ড মিডিয়াম ওয়েভ কয়েল। ভেরিয়েবল কেপাসিটরটি ০.০০০৫ গভফ এবং অপর কেপাসিটরটি ০.০০২ গভফ এর। এই সেটটিতে আর্থ ও এরিয়াল প্রয়োজন। ট্র্যানজিসটারে কালেকটার, বেস ও এমিটার এই নামবিশিষ্ট তিনটি তার থাকে। যে তারটির নিকটে ট্র্যানজিসটারের গায়ে লাল ফুটা অথবা ত্রিভুজের মতো চিনহ দেওয়া থাকে সেই তারটির নাম কালেকটার, মধ্যের তারটির নাম বেস এবং শেষেরটি এমিটার।

গঠন-পদ্ধতি:

চিত্রের মত করে পার্টস গুলো বসান। এখানে ব্যবহ্রত ট্র্যানজিসটারে এমিটারের পাটির কোন কানেকশান হবে না। আর্থ বাসার পানির কলের সাথে লাগিয়ে দিন।

সেটটি তৈরি হয়ে যাবার পর আর্থ ও এরিয়াল লাগিয়ে ভেরিয়েবল কেপাসিটারটির নব ঘোরালেই শব্দ শোন যাবে।

প্রয়োজনীয় পার্টসের তালিকা:

. Transister 251377(Hitachi) ———1pc.

. Variable Capacitor 0.0005 Mfd — 1pc.

.Ceramic Capacitor 0.0002 Mfd —- 1pc.

. Medium wave antenna coil ———1pc.

. Head phone 2000 ohms impedance –1pc.

. Knob ————————————–1pc.

. Tagstrips 6 Pole————————–2pc.

Connecting wire (flexiable or hook up

কম ইন্টারনেট স্পীডেও টিউন করুন যেকোন অনলাইন রেডিও স্টেশন

আমরা যারা গ্রামে বা প্রত্যন্ত এলাকায় থাকি তাদের পাশাপাশি যারা বিদেশে থাকেন তারা সাধারন এফ.এম. রেডিও শোনার সুবিধা থেকেবঞ্চিত হন। একটি সফটওয়্যারের সাহায্যে ( ইন্সটল করা ছাড়াই ) আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে রেডিও শুনতে পারবেন কম স্পীডেও। আমি ৮-৯ KB/s স্পীডেও কোন সমস্যা ছাড়া স্পস্ট শুনেছি।

radio

বাংলাদেশের রেডিও শোনার জন্যঃ

বাংলাদেশের রেডিওগুলো শোনার জন্য

১। এখান থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন।

২। exe ফাইলটির উপর ক্লিক করলে নিচের ছবির মতো একটি উইন্ডো ওপেন হবে।

৩। রেডিওর লিস্ট থেকে যে রেডিও শুনতে চান সেই রেডিও সিলেক্ট করুন (আমি রেডিও গুনগুন সিলেক্ট করলাম) । এরপর connecting to media file.. দেখাবে ( চিত্রের মত )

৪। এরপর buffering শুরু হবে ( চিত্রে ২% দেখাচ্ছে )। ১০০% কমপ্লিট হতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় লাগবে। ১০০% কমপ্লিট হয়ে গেলে রেডিও শুনতে পাবেন।

উপভোগ করুন বাংলাদেশী এফ.এম. রেডিও।

যে কোন রেডিও শোনার জন্যঃ

এই সফটওয়্যারের সাহায্যে আপনি যে কোন রেডিও শুনতে পারবেন । উপরের মত নিয়মেই চলবে, কিন্তু এখানে ইচ্ছা করলে আপনি চ্যানেলের সংখ্যা বাড়াতে কমাতে পারবেন। কিভাবে চ্যানেলের সংখ্যা বাড়াবেন তা নিচে দেওয়া হলোঃ

ফোল্ডারের ভেতরের নোটপ্যাডটি ওপেন করুন। এরপর যে ফরমাটে রেডিও এবং তার ঠিকানা দেওয়া আছে সেরকমভাবে সেখানে নতুন যে রেডিও যোগ করতে চান তার নাম এবং এড্রেস যোগ করতে পারেন। আর এত ঝামেলা না করতে চাইলে দরকার নাই। বাংলাদেশী রেডিও শোনার জন্য ১ম সফটওয়্যারটি ব্যবহার করবেন আর বিদেশী রেডিও শোনার জন্য ২য় টি। ব্যস। ঝামেলা শেষ। উপভোগ করুন রেডিও। :)

পুরো অনলাইন জগতকে একসাথে পেতে চালু হল BDnet24.com

অনলাইনে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট খুজে পেতে প্রায়ই আমাদের ঝামেলায় পড়তে হয়। আর তাই আপনার এই কাজকে সহজ করে দিতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সাইটের লিংক নিয়ে চালু হল দারুন একটি ওয়েবসাইট। এখানে সোশ্যালনেটওর্য়াকিং সাইট, র্সাচ ইঞ্জিন, সর্বশেষ খবর, জরুরী ফোন নাম্বার, অনলাইনে আয়ের সব উপায়, ফ্রি নেট টু ফোন, ফ্রি এসএমএস, চাকরী, শেয়ার বাজার, ডাটা এন্ট্রি এর সব গুরুত্বপূর্ণ খবর ও লিংক একসাথে পাওয়া যাবে।

এছাড়াও www.bdnet24.com নামক এই সাইটে পাওয়া যাবে সকল বিশ্ব বিদ্যালয়, স্কলারশীপ, অনলাইন লাইভ টিভি, অনলাইন রেডিও, পত্রিকা, গান, সফটওয়্যার ও ইবুকের বিশাল কালেকশন।

এছাড়াও আছে কম্পিউটার টিপস, কম্পিউটার পণ্যের দাম দর, এন্টিভাইরাস এর বিভিন্ন তথ্য যা আপনার কাজে লাগার মত।

তাহরে আর দেরী কেন? এখনই ভিজিট করুন www.bdnet24.com

জটিল নকশা করা কিছু ভবিষ্যৎ এর মোবাইল ডিভাইস

বর্তমানে এপলের iPhone ও গুগলের Nexus One এর মত ডিভাইস গুলো তাদের চমৎকার সব ফিচার দ্বারা মানুষের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে কি আসতে পারে আপনি কি তা জানেন ? বর্তমানে প্রযুক্তি এগিয়ে গেছে। এই এগিয়ে যাবার সাথে সাথে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস গুলোও আপডেট করা হচ্ছে। তেমন ই কিছু উচ্চ প্রযুক্তির জটিল নকশা করা মোবাইল ডিভাইস এর সাথে আপনাদের পরিচয় করে দিব। হয়তো ভবিষৎ এ কোন দিন এই গুলো আমাদের হাতে শোভা পাবে

Kyocera EOS Kinetic Flexible OLED Cell Phone :

mobileconcept1

চিত্রঃ ভাজ করা অবস্থায় মোবাইল ডিভাইস টি দেখতে এমন দেখা যায়।

mobileconcept2

চিত্রঃ খোলা অবস্থায় এই মোবাইল ডিভাইস টি দেখতে ঠিক এমন দেখা যায়।

এই মোবাইল ডিভাইস টি ভাজ করা অবস্থায় সেল ফোন হিসেবে ব্যাবহার করা যায়। আর ভাজ না করা অবস্থায় এটি দেখতে একটি ওয়াইড স্ক্রিন মনিটরের মত দেখা যায়।

The iida Polaris – Robot and Phone:

এই ডিভাইস টি মোবাইল ও রোবটের সংমিশ্রনে তৈরী।এটি জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল কোম্পানি KDDI এর তৈরী।এই বোবটিক মোবাইল ডিভাইস টি ব্যাবহার কারীর বিভিন্ন সারিরিক কাজকর্ম, রক্তচাপ, ডায়েট এর তথ্য দেখাশুনা/মনিটর করে থাকে।

The Conduit:

SKY/Pantech নামের কোরিয়ান কোম্পানি এই মোবাইল ডিভাইসটির নকশা করেছেন। এতে একটি ছোট 2×3 ইঞ্চি ডিসপ্লে রয়েছে।

Mobile Script:

এটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন এটি মোবাইল ও ল্যাপটপ হিসাবে আপনি আপনার পকেটে রাখতে পারেন। এটি ল্যাপটপ ও মোবাইল দুই ভাবে কাজ করে। এই ডিভাইসটিতে 9.5 ইঞ্চি একটি ডিসপ্লে আছে যা মিনিমাইজ করা থাকে । এই ডিসপ্লে টির মধ্যে ল্যাপটপের সকল সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা আছে।

Magic Stone

ম্যাজিক ষ্টোন নামের এই ডিভাইস টির নকশা এমন ভাবে তৈরী করা হয়েছে যেন এটি দেখতে মূল্যবান পাথরের মতদেখা যায়। সবচেয়ে বড় কথা হল এই ডিভাইসটি সৌরশক্তি দিয়ে চলে।

Sony Simplicity:

ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নকশার সাথে সাথে মোবাইল ডিভাইস নকশার দিক দিয়ে সনি কোম্পানি ও পিছিয়ে নেই। তারা এই ডিভাইস টি নকশা করেছে একমাত্র তাদের জন্য যারা শুধু যোগাযোগ রক্ষার জন্য মোবাইল ব্যাবহার করে। কারন এই মোবাইল ডিভাইস টিতে নেই SMS, ক্যেমেরা, অর্গানাইজার, ইমেইল, ইন্টারনেট সার্ফিং ফাংশন ইত্যাদি। এটি শুধুমাত্র কথাবলার কাজে + ফ্যাশান হিসেবে হ্যাবহার করা যাবে।

Cobalto Mobile Phone Concept:

এটি শুধু একটি মোবাইল ডিভাইস নকশা। এই ডিভাইস টির নকশা যে ব্যাক্তি করে ছেন তিনি হলিউডের “Minority Report” নামক “Sci-Fi” ছবি টি দেখে আগ্রহী হয়ে তিনি ডডিভাইস টির নকশা করেছেন। এটিকে ত্রিমাত্রিক মোবাইল ডিভাইস ও বলা যায়। কারন উপরের ছবিগুলো দেখে আপনারা বাকীটুকু বুঝে নিন।

Wild Fold:

এই ডিভাইসটি খুবই সিম্পল। চশমার বক্স এরমত বুক পকেটে রাখা যায়। এটি ভাজ করা অবস্থায় থাকে। মোবাইল হিসেবে ব্যাবহার করার জন্য এটির ভাজ খুলে নিতে হয় ১ম ছবিটির মতকরে। এই সিম্পল ডিভাইস টি আমার খুব ভালো লেগেছে।

এটি আমার নিজের বাংলা ব্লগ রলিনে ও প্রকাশ করা হয়েছে।

যেভাবে ডিলিট করবেন আনডিলিটেবল ফাইল

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কিছু কমন সমস্যায় প্রায় নিয়মিতই পড়তে হয়। যেমনঃ কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যাওয়া, স্টার্টআপে অত্যধিক সময় নেয়া, ফাইল রেসপন্স না করা ইত্যাদি। আজ আমরা আলোচনা করবো আনরেসপনসিভ ফাইল মুছে ফেলার পদ্ধতি নিয়ে।

অনেক সময়ই বিভিন্ন সফটওয়্যার বা অতি সাধারণ ফাইল আনরেসপনসিভ হয়ে পড়ে। ফলে দেখা যায় যে, আপনি সেটিকে কোনোভাবেই মুছে ফেলতে পারেন না। ডিলিট করতে গেলেই মেসেজ বক্স আসে যাতে লেখা থাকে যে, এই ফাইলটি ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এই মুহুর্তে ডিলিট করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনি নিম্নোক্ত উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন।

কন্ট্রোল + অল্টার + ডিলিট কি-গুলো প্রেস করে অথবা টাস্কবারে রাইট কিক করে টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করুন। টাস্ক ম্যানেজারের প্রসেস ট্যাবে কিক করুন। এখানে আপনি দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের ব্যাক-এন্ডে যেসব প্রোগ্রাম সচল রয়েছে তার তালিকা। এবারে আপনি যে ফাইলটি মুছে ফেলতে চাচ্ছেন, সেই ফাইলের নাম খুঁজে দেখুন। যদি পেয়ে যান, তাহলে তা সিলেক্ট করে “End Process” বাটনে কিক করুন। এতে করে উক্ত প্রোগ্রামটির কাজ বন্ধ হবে। এবারে ফাইলটি মুছে ফেলার চেষ্টা করুন। এরপরও কাজ না হলে কম্পিউটার একবার রিস্টার্ট করে দেখতে পারেন।

অনেক সময় শিফট + ডিলিট প্রেস করে সরাসরি ফাইল মুছে ফেলা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে প্রথমে শুধু ডিলিট কি চেপে ফাইলটিকে রিসাইকেল বিনে নিয়ে যান। তারপর সেখান থেকে আবার ফাইলটি মুছে ফেলুন।

আর যদি তারপরও ফাইল মুছে ফেলা সম্ভব না হয়? আপনার কম্পিউটারের ফাইল যদি আপনার কথা না শোনে, তাহলে তাকে মেরে ফেলার অধিকার নিশ্চয়ই আছে আপনার! হ্যাঁ, কোনো ফাইল যদি এমনভাবে জায়গা দখল করে বসে যে তাকে আপনি সরাতেই পারছেন না আপনার কম্পিউটার থেকে, তাহলে একমাত্র উপায় তাকে মেরে ফেলা।

FileAssassin (বাংলায় ফাইল হত্যাকারী) নামের ছোট্ট এই সফটওয়্যারটি আপনার হয়ে কাজটি করে দিতে প্রস্তুত। আসুন জেনে নিই কীভাবে আপনি এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে ফাইল ডিলিট করবেন।

FileAssassin

প্রথমেই এখানে ক্লিক করে ২০০ কিলোবাইটেরও কম আকারের ইন্সটলারটি ডাউনলোড করে নিন। তারপর ইন্সটল করে প্রোগ্রামটি চালু করুন। এবারে নিচের মতো একটি উইন্ডো দেখতে পাবেন।

fileAssasin

এই উইন্ডোর টেক্সট বক্সে আপনাকে যে ফাইল বা ফোল্ডারটি ডিলিট করতে চান, তার অবস্থান বলে দিতে হবে। আপনি ফাইলটি ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ পদ্ধতিতে এ কাজটি করতে পারেন, অথবা “…” বাটনে কিক করে ব্রাউজ করার মাধ্যমে ফাইল অবস্থান জানিয়ে দিতে পারেন।

কাঙ্ক্ষিত ফাইল বা ফোল্ডারের অবস্থান জানিয়ে দেয়ার পর নিচে কয়েকটি অপশন পাবেন। এখান থেকে প্রথম রেডিও বাটনটিতে কিক করুন। আপনি যদি শুধু ফাইলটির প্রক্রিয়া বন্ধ করতে চান, অর্থাৎ মুছে ফেলতে না চান, তাহলে Delete this File চেকবক্স থেকে টিকচিহ্নটি উঠিয়ে দিন। অন্যথায় এই চেকবক্সটিতেও টিক দিয়ে ‘Execute’ বাটনে কিক করুন।

FileAssassin এবার আপনার ফাইল মূলোৎপাটন করবে। উল্লেখ্য, আপনার ফাইল যদি লক করাও থাকে, ফাইলঅ্যাসাসিনের জন্য তা ডিলিট করা মোটেও কষ্টকর হবে না। বরং, যে কোনো প্রকারের ফাইল মুছে ফেলার জন্য আমার দেখা শ্রেষ্ঠ সফটওয়্যার হচ্ছে FileAssassin

আপনার পিসিকে করুন ঝামেলামুক্ত এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন

কম্পিউটার ব্যবহার করতে করতে প্রায়ই আমাদের বিভিন্ন ঝামেলায় পড়তে হয়। স্লো হয়ে যাওয়া, হ্যাং করা, ভাইরাসের আক্রমন ইত্যাদি সমস্যার সাথে মোটামুটি সবাই পরিচিত। হাই কনফিগারেশন এর পিসিতেও এই সমস্যাগুলো হতে পারে। এ সকল কারনে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ন কাজের ব্যঘাত ঘটে। তবে একটু সচেতন হলেই এই ব্যপারগুলো সহজেই এড়িয়ে চলা যায়।

slow pc

আপনার পিসিকে দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং ঝামেলামুক্ত করতে কয়েকটি ফ্রী টুলস এবং টিপস নিয়েই এই পোস্ট।

ভাইরাস, স্পাইওয়্যার থেকে সুরক্ষা

আনেকেই মনে করে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করলে পিসি স্লো হয়ে যায়। কিন্তু ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যার আপনার পিসিকে আরও বেশি স্লো করে দিতে পারে। এমনকি আপনার গুরুত্বপূর্ন তথ্যও মুছে ফেলতে পারে। এ জন্য আপনার পিসিতে যে কোন ভাল একটি এন্টিভাইরাসের লেটেস্ট ভার্শন ইন্সটল করে নিয়মিত আপডেট করা উচিত। সাথে সাথে একটি এন্টিস্পাইওয়্যারও ব্যবহার করা উচিত। ফ্রী এন্টিভাইরাস এবং এন্টিস্পাইওয়্যার নিয়ে লেখা আমার এই পোস্টটিও দেখতে পারেন।

নূন্যতম সফটওয়্যার ব্যবহার

অধিক সফটওয়্যার এর ব্যবহার আপনার পিসিকে যথেস্ট স্লো করে দিতে পারে। প্রতিটি সফটওয়্যার ইন্সটল করার সাথে সাথে এটি রেজিস্ট্রিতে এন্ট্রি প্রবেশ করায়। আর রেজিস্ট্রির এইসব এন্ট্রি যত বাড়তে থাকে পিসিও তত স্লো হতে থাকে। তাই চেস্টা করা উচিত যত কম সংখ্যক সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়। আরেকটি ভাল সমাধান হল পোর্টেবল সফটওয়্যার ব্যবহার করা। পোর্টেবল সফটওয়্যার ইন্সটল করার প্রয়োজন হয় না। তাই রেজিস্ট্রি পরিস্কার থাকে।

স্টার্টআপ প্রোগ্রাম ডিজেবল করা

আপনার পিসি স্টার্ট হওয়ার সাথে সাথে কিছু কিছু সফটওয়্যারও অটো স্টার্ট হয়। এতে করে বুটআপ স্লো হয়ে যায়। স্টার্টআপ পরিস্কার করার জন্য Start মেনুতে গিয়ে Run এ ক্লিক করুন। এরপর MsConfig লিখে এন্টার চাপুন। একটি উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে Startup ট্যাব এ ক্লিক করুন। এখানে যেই প্রোগ্রামগুলোতে টিক চিহ্ন দেয়া আছে সেগুলো আপনার পিসি স্টার্ট হওয়ার সময় অটো স্টার্ট হয়। এখান থেকে যে সফটওয়্যারগুলো প্রয়োজন নেই সেগুলো থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Ok করুন। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার সিস্টেম এর কোন প্রোগ্রাম থেকে যেন টিক চিহ্ন তুলে না দেন। এরপর পিসি রিস্টার্ট করুন।

টেমপোরারি ফাইল, কুকি এবং রেজিস্ট্রি পরিস্কার

কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ করার সময় এবং সফটওয়্যার ইন্সটল করলে টেমপোরারি ফাইল জমা হয়। এই ফাইল গুলো একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। টেমপোরারি ফাইল ডিলিট করার জন্য Start Menu থেকে Run এ গিয়ে লিখুন %temp% তারপর এন্টার চাপলে টেপোরারি ফাইলগুলো দেখা যাবে। এবার কি বোর্ড থেকে Ctrl+A চেপে সবগুলো ফাইল সিলেক্ট করে Shift+Delete চেপে ডিলিট করে দিন।

ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় বিভিন্ন ওয়েব সাইট আপনার পিসিতে কুকি জমা করে। যার মধ্যে বেশির ভাগই অপ্রয়োজনীয় এবং পিসিকে স্লো করে ফেলে। কুকি ডিলিট করার জন্য ফায়ারফক্স ব্রাউজার থেকে টুলস এ ক্লিক করুন। তারপর অপশনস এ ক্লিক করে যে উইন্ডো ওপেন হবে সেখান থেকে প্রাইভেসি ট্যাব এ ক্লিক করুন। এবার ক্লিয়ার নাও বাটন এ ক্লিক করে কুকি সিলেক্ট করে “ক্লিয়ার প্রাইভেট ডাটা নাও” বাটনে ক্লিক করলে কুকি ডিলিট হয়ে যাবে। আর আপনি যদি অন্য কোন ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ফায়ারফক্স ট্রাই করে দেখুন। এটি নিরাপদ, সহজ এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন।

রেজিস্ট্রি পরিস্কার করার জন্য Registry Fix আথবা Registry Easy ব্যবহার করতে পারেন।

একাধিক ম্যাসেঞ্জার বর্জন করুন

অনেকেই তাদের পিসিতে ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার, গুগল টক, এমএসএন ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি একসাথে ইন্সটল করে রাখে। এগুলোও পিসিকে স্লো করে ফেলে। এতগুলো সফটওয়্যার এর কাজ আপনি একটি সফটওয়্যার দিয়েই করতে পারেন। এর জন্য PidGin অথবা Digsby ব্যবহার করুন।

ডেস্কটপে কম আইকন ব্যবহার

ডেস্কটপ ভর্তি আইকন আপনার পিসির স্টার্টআপ এবং অন্যান্য কার্যক্রম ধীরগতির করে দিতে পারে। তাই ডেস্কটপে প্রয়োজনীয় ২-৩টি আইকন এর বেশি রাখা উচিত নয়। প্রোগ্রামগুলো সরাসরি স্টার্ট মেনু থেকে ব্যবহার করুন অথবা Launchy ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

অপ্রয়োজনীয় ফন্ট এবং সফটওয়্যার আনইন্সটল

অপ্রয়োজনীয় ফন্ট এবং সফটওয়্যার আনইন্সটল করে ফেলা উচিত। পিসি স্টার্ট হওয়ার সময় ফন্টগুলো লোড হয়। ফলে স্টার্টআপ ধীরগতির হয়ে যায়। ফন্ট আনইন্সটল করার জন্য Control Panel থেকে Font ফোল্ডারে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় ফন্টগুলো ডিলিট করে দিন।

এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করলে আশা করি আপনার কম্পিটার হয়ে উঠবে আরও গতিশীল এবং ঝামেলামুক্ত।

YouTube এর ভিডিও বাফারিংকে দ্রুততর করার কৌশল

আমরা প্রায় সবাই Youtube এর ভিডিও দেখে থাকি। কিন্তু অনেকেরই ভালো স্পীডের ইন্টারনেট কানেকশন না থাকার কারনে Youtube এ ভিডিও বাফার হতে অনেক বেশী সময় নেয় যা খুবই বিরক্তিকর। এ সমস্যা থেকে কিছুটা হলে মুক্ত করার জন্য আমি আপনাদেরকে এমন একটি সফটওয়্যারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব যেটা Youtube এর ভিডিও বাফারিংকে অনেকটা দ্রুততর করবে। সফটওয়্যারটির নাম হল SpeedBit Video Accelerator

এই সফটওয়্যারটি Youtube এর ভিডিওকে করবে আরো দ্রুত। এছাড়াও এটি আপনাকে ভিডিও সার্চিং সুবিধাও প্রদান করবে। সফটওয়্যারটি থেকে পছন্দের ভিডিও এর লিংক শেয়ার করা যাবে টুইটারে। এটি জনপ্রিয় সকল ব্রাউজার সাপোর্ট করে। এছাড়াও হাই ডেফিনেশন ভিডিও এক্সেলেরেশন সুবিধাও এতে রয়েছে।

SpeedBit Video Acceleratorতাহলে আর দেরি কেন? এখনই এখান থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন আর উপভোগ করুন দ্রততর ভিডিও।

অনলাইনে সহজেই তৈরী করুন নিজের ফ্রী টিভি চ্যানেল!

আমরা অনেকেই অনলাইন ঢিভি চ্যানেলের সাথে খুব একটা পরিচিত নই কেননা বাংলাদেশের কম গতিসম্পন্ন ইন্টারনেটের কারনে অনলাইন টিভি চ্যানেলগুলো, এমনকি ভিডিও ঠিকমত দেখা যায় না তবে বর্তমানে বাংলাদেশে ওয়াইম্যাক্স ও বিভিন্ন দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আসায় সেই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়েছে তাই এখন আসুন, নিজেরাই তৈরী করি অনলাইন টিভি চ্যানেল!
খুব সহজেই অনলাইনে তৈরী করা যায় নিজের ফ্রী অনলাইন টিভি চ্যানেল এজন্য প্রথমে WorldTV ওয়েব সাইটে যান এরপর কিছুক্ষন লোড হওয়ার পর একটি পেইজ আসবে, সেখানে Continue তে ক্লিক করুন তারপর নিচের চিত্রের মত একটি পেইজ আসবে এবং সেখানে যে ভিডিও গুলো আপনার চ্যানেলে দেখাতে চান সেগুলোর লিংক দিন এবং Next বাটনে ক্লিক করুন

পরের ধাপে আপনার চ্যানেলের জন্য পছন্দমত একটি নাম দিন একটি নাম এভেইলেবল না থাকলে অন্য একটি দিয়ে চেস্টা করুন এরপর আপনার টিভি চ্যানেলের জন্য লোগো নির্বাচন করে Next এ ক্লিক করুন এবং আপনার ই-মেইল এড্রেস দিন ব্যাস, আপনার টিভি চ্যানেলটি তৈরি হয়ে গেছে :) সেখান থেকে Next এ ক্লিক করে আপনার এডিটর পেইজে যান এবং প্রয়োজনীয় সেটিংস ঠিক করুন আপনার ওয়েব সাইটে টিভি চ্যানেল এড করার জন্য এডিটর পেইজের উপরের ট্যাবগুলোর সাহায্য নিন

Standard অথবা iFrame এমবেড থেকে যেকোন একটি বেছে নিয়ে আপনার সাইটে যুক্ত করতে পারবেন

এবার আপনার অনলাইন চ্যানেলটি ভিজিট করে দেখুন আপনার দেয়া ভিডিওগুলো পর্যায়ক্রমে প্লে হচ্ছে উদাহরন হিসেবে এই টিভি চ্যানেল http://www.bdwebtv.tk ভিজিট করে দেখতে পারেন

উইন্ডোজ কম্পিউটারে পেনড্রাইভকে ব্যবহার করুন র‌্যাম হিসেবে

র‌্যানডম এক্সেস মেমোরি বা র‌্যাম পিসির হার্ডওয়্যারের একটি অপরিহার্য এবং খুবই গুরুত্বপূর্ন অংশ র‌্যামের স্বল্পতার কারনে সাধারনত পিসি স্লো হয়ে যায় আপনি ইচ্ছে করলে সহজেই আপনার পেনড্রাইভ অথবা যে কোন ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে র‌্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার পিসির সার্বিক কর্মক্ষমতা এবং গতি কিছুটা হলেও বাড়বে

mickey-mouse-usb-flash-drive

এখানে আমি দুটি পদ্ধতির কথা জানাবো একটি উন্ডোজের যে কোন অপারেটিং সিস্টেম এ কাজ করবে এবং অপরটি শুধুমাত্র উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এ কাজ করবে

এর আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা ভাল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কম্পিউটারের কাজের জন্য দুটি মেমোরি ব্যবহার করে:

১. Physical Memory (যা আমাদের কাছে র‌্যাম হিসেবে পরিচিত)
২. Page File (এটি একটি ভার্চুয়াল মেমোরি ফাইল, যা হার্ডডিস্ক এ স্টোর করা থাকে)

Physical Memory যখন সম্পুর্ণ হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত মেমোরি হিসেবে Virtual Memory ব্যবহৃত হয় উল্লেখ্য যে Physical Memory, Virtual Memory অপেক্ষা দ্রুত কাজ করে এবং Virtual Memory, Physical Memory অপেক্ষা কম গতি সম্পন্ন

প্রথমেই সকল অপারেটিং সিস্টেম অর্থাত উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এর পদ্ধতিটি বলি এখানে আমি খুব সহজেই ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে Page File হিসেবে ব্যবহার করার পদ্ধতিটি বলছিঃ

* আপনার পেনড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভটিকে কম্পিউটারে কানেক্ট করুন [ড্রাইভটি নুন্যতম ১ গিগাবাইটের হতে হবে তবে ৪ গিগাবাইট হলে সবচেয়ে ভাল হয়]

* My Computer আইকনে রাইট ক্লিক করুন এবং Properties এ যান অথবা মাই কম্পিউটারে প্রবেশ করে যেকোন খালি জায়গায় রাইট বাটন ক্লিক করেও এটি করা যায়

* Advanced > Performance > Settings > Advanced > Change এ ক্লিক করুন

* এখানে ডিফল্ট হিসেবে সাধারনত No paging file সিলেক্ট করা থাকে

syspro

* এবার আপনার পেনড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভটি সিলেক্ট করে Custom Size এ ক্লিক করুন

* Initial size এবং Maximum size এ একই সংখ্যা লিখুন আপনি যতটুকু জায়গা র‌্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে চান এখানে সেটাই লিখতে হবে

* উইন্ডোজের ৫ মেগাবাইট ফ্রি জায়গার প্রয়োজন হয় তাই Initial size এবং Maximum size এ Available Space থেকে নুন্যতম ৫ মেগাবাইট কম লিখতে হবে অর্থাৎ আপনার পেন ড্রাইভে যতটুকু জায়গা রয়েছে তার চাইতে ৫-১০ মেগাবাইট কম লিখুন

* এবার Apply, OK এবং OK দিয়ে কম্পিউটারটি Restart করুন

উল্লেখ্য যে আপনি এই পদ্ধতিতে হার্ডডিস্কের ফ্রি স্পেসকেও Page File হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন তবে এটি কম গতিসম্পন্ন হওয়ায় কমপক্ষে ৮ গিগাবাইট মেমোরি ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি

এবার উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এর পদ্ধতিটি বলিঃ

উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এ মাইক্রোসফট প্রযুক্তির বিশ্বে একটি নতুন প্রযুক্তির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়েছে তা হল Ready Boost Technology. এটির সাহায্যে পেনড্রাইভ বা যে কোন ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে কম্পিউটারের তৃতীয় মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করা যায়

Ready Boost অ্যাকটিভেট করতে হলে প্রথমে আপনার পেনড্রাইভ অথবা ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে কম্পিউটারে কানেক্ট করুন এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন:

* My Computer ওপেন করুন

* Removable Disk Drive টির Properties এ যান

* Ready Boost ট্যাবটিতে ক্লিক করুন

* আপনি যতটুকু জায়গা মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করতে চান তা সিলেক্ট করে Ready Boost Enable করুন

এই বিষয়গুলো লক্ষ করুন:

* আপনি Ready Boost ব্যবহার করুন আর নাই করুন, উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন আপনার কম্পিইটারে ব্যবহারের জন্য নুন্যতম ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম থাকা প্রয়োজন উল্লেখ্য যে, ১ গিগাবাইট র‌্যাম থাকলে ভাল হয়

* আপনি যখন পেনড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করবেন, তখন আপনার সিলেক্ট করা জায়গাটুকু ফাইল স্টোরেজের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন না

* যদি আপনার ডিভাইসটিতে Ready Boost অ্যাকটিভেট করা না যায়, তাহলে আপনার ডিভাইসটিতে Ready Boost অ্যাকটিভেট করার জন্য নুন্যতম ডাটা ট্রান্সফার রেট (২ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড) এর ঘাটতি রয়েছে তাই আপনার ডিভাইসটি Ready Boost সাপোর্ট করেনা

সাধারনত সনির এম ২ মেমোরি কার্ড যা সকল সনি এরিকসন মোবাইলৈ ব্যবহৃত হয় তা Ready Boost সাপোর্ট করেনা কারন এম ২ কার্ডের ডাটা ট্রান্সফার রেট ২ মেগাবাইটের কম তবে এখনকার বেশিরভাগ মেমোরি কার্ড, পেনড্রাইভ এবং ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ই Ready Boost সাপোর্ট করে

উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে আপনি যে কোন উইন্ডোজ কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন

ফায়ারফক্সের গতি বাড়ান খুব সহজেই!

বাংলাদেশের স্লো ইন্টারনেটের কারনে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি এজন্য আমরা অনেকেই Opera ব্রাউজারের Turbo ব্যবহার করে থাকি তবে অনেকেই হয়তো খেয়াল করেননা যে, Opera ব্রাউজারের Turbo ব্যবহারের ফলে যারা ১ গিগাবাইট বা ৩ গিগাবাইট এর মত লিমিটেড ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয় কারন Turbo ব্যবহারের ফলে ইন্টারনেট খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়

কিন্তু আমরা চাইলে কোন ঝামেলা ও অ্যাডিশনাল সফটওয়্যার ছাড়া খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারি এজন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র Mozilla Firefox ইন্টারনেট ব্রাউজার এবং মাইক্রোসফট উইন্ডোজের যে কোন অপারেটিং সিস্টেম তবে ফায়ারফক্সের সর্বশেষ ভার্সনগুলো থাকলে ভাল হয়

খুব সহজেই ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর পদক্ষেপ সমূহঃ-

১. প্রথমে Mozilla Firefox ব্রাউজারটি Open করুন

২. এবার Address Bar -এ যেয়ে about:config লিখে Enter করুন

৩. এরপর একটি Warning Messsage দেখাবে সেখানে I’ll be careful -এ দিয়ে Enter করুন

৪. এরপর about:config -এর Page টি আসবে সেখানে Filter এ Pipelining লিখে Search দিন অথবা
Pipelining এর অপশনগুলো খুজে নিন

৫. এবার সেখান থেকে network.http.pipelining -এর Value পরিবর্তন করে false থেকে true করে দিন
এবং network.http.pipelining.maxrequests -এর Value পরিবর্তন করে 4 থেকে 10 করে দিন

৬. লক্ষ্য রাখতে হবে যে network.http.pipelining.maxrequests -এর Value কখনোই 10 এর
বেশি দেয়া যাবেনা সেক্ষেত্রে ফায়ারফক্স ফ্রিজ হবার সম্ভাবনা থাকে

৭. এবার ফায়ারফক্স এর File এ যেয়ে Exit দিন

৮. তারপর আপনার ইন্টারনেট কানেকশন ম্যানেজার -এ যান

৯. সেখান থেকে আপনার default connection অর্থাত আপনি যে connection টি ব্যবহার করেন, তার Properties এ যান

১০. সেখানে প্রথমেই থাকা General ট্যাব এর Configure -এ ক্লিক করুন

১১. এবার Maximum speed (bps) পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ মান অর্থাত 921600 -এ দিয়ে OK দিয়ে
বেড়িয়ে আসুন

১২. তারপর আপনার কম্পিউটারটি Restart করুন

এবার আপনি নিজেই Mozilla Firefox এর সাহায্যে ইন্টারনেটে ব্রাউজ করে দেখুন গতি কতটা বেড়েছে!

অনলাইনে কনভার্ট করুন সব ধরনের ফাইল

আমরা সাধারনত বিভিন্ন ফাইল যেমন গান, ভিডিও ইত্যাদি কনভার্ট করার জন্য নানা রকম সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কোনো সফটওয়্যার ছাড়া অনলাইনে বসেই যেকোন দরকারি ফাইল কনভার্ট করে নেয়া যায়। এতে করে অধিক সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রয়োযন পড়ে না। অনলাইনে ফাইল কনভার্ট করার জন্য অনেক সাইট রয়েছে যার মধ্যে zamzar অন্যতম। এই সাইট থেকে অতি সহজে যেকোন ফাইল যেকোন ফরম্যাটে কনভার্ট করে নেয়া যায়।

2010-02-18_111513

  • প্রথমত এখানে ক্লিক করুন।
  • তারপর ব্রাউজ বাটনে ক্লিক করে ফাইল টি আপলোড করে নিন।
    2010-02-17_224524
  • এরপর আপনি আপনার কাঙ্খিত ফরম্যাটটি সিলেক্ট করুন।
  • এখন আপনার ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে কনভার্ট বাটনে ক্লিক করুন।
  • এবার আপনি আপনার মেইল বক্স চেক করুন সেখানে একটি ডাউনলোড লিঙ্ক আসবে।
  • এখন আপনি এই লিঙ্ক থেকে আপনার কাঙ্খিত ফরম্যাটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

তবে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া এখানে ১০০ মেগা আকৃতির ফাইল কনভার্ট করা যাবে। আর রেজিস্ট্রেশন করলে ১ গিগা আকৃতির ফাইল কনভার্ট করা যাবে এবং আপনার নিজস্ব ইনবক্স তৈরি হবে। এছাড়া এই সাইট থেকে যেকোন video sharing সাইট যেমন youtube এর ভিডিও লিঙ্ক দিয়ে যেকোন ফরম্যাটে ডাউনলোড করে নেয়া যায়।

এরকম আর কয়েকটি সাইট হল media-convert.com , freefileconvert.com

ইন্টারনেটে সার্চ করতে গিয়ে মুলত বিষয়টি আমার দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

কম্পিউটিং এ নতুন মাত্রা যোগ করতে কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস

কম্পিউটার তথা তথ্য প্রযুক্তিকে সফল ও সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে চাইলে ট্রিকস-এর কোনো বিকল্প নেই। এসব টিপস-এর সাহায্যে অল্প পরিশ্রমে কঠিন কাজ করা যায়, তেমনি যায় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে কম্পিউটিং অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করা। এসব ট্রিকস ব্যবহারে আপনার কম্পিউটার হয়ে উঠবে আরো অর্থবোধক, আরো কার্যকর।

ist2_3000816-happy-computing

গুগল ক্রোমে অন্য সার্চ ইঞ্জিন

গুগল ক্রোমের অ্যাড্রেস বারে কোন কিওয়ার্ড লিখে এন্টার করলে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিনে সার্চের ফলাফল দেখা যায়। সাধারণত গুগল সার্চ ইঞ্জিনই ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে থাকে। গুগল ক্রোমে আরো যুক্ত বিং এবং ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিন যা ইচ্ছা করলে ডিফল্ট হিসাবে ব্যবহার করা যায় এছাড়াও নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটের সার্চ ইঞ্জিনকেও যুক্ত করে ডিফল্ট করা যায়। এজন্য Tools মেন্যু Options এ ক্লিক করুন এবং Basic ট্যাবের Default Search এর ড্রপ ডাউন থেকে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন নির্বাচন করলেই হবে। নতুন সার্চ ইঞ্জিন যোগ বা বাদ দিতে চাইলে Manage বাটনে ক্লিক করে উইন্ডো থেকে সার্চ ইঞ্জিন ইচ্ছামত ডিফল্ট করা বা নতুন ইঞ্জিন যোগ করা অথবা মুছে দিতে পারবেন। কোন সাইটে যদি কাস্টমাইজ সার্চ ইঞ্জিন যুক্ত থাকে যা ফায়ারফক্স এবং ইন্টারনেট এক্সপোরার ৭+ এর উপযোগী করে তৈরি করা সেই সার্চ ইঞ্জিনও এখানে যুক্ত করা যাবে। সেজন্য ব্রাউজারে আগে উক্ত সাইটে প্রবেশ করে তার পরে সার্চ ইঞ্জিন Manage এ আসুন। তাহলে নিচে উক্ত সার্চ ইঞ্জিন দেখাবে। এবার উক্ত সার্চ ইঞ্জিন নির্বাচন করে Make Default বাটনে ক্লিক করলে সার্চ ইঞ্জিনটি যুক্ত হবে এবং ডিফল্ট হবে।

টুইট দিয়ে টুইটবুক তৈরি

জনপ্রিয় মাইক্রব্লগিং টুইটারে যারা স্ট্যাটাস আপডেট করেন তারা চাইলে সহজেই টুইটারের সকল আপডেটগুলোকে পিডিএফ হিসাবে টুইট বই বানানো যাবে। এই ই-বুক টুইটার ব্যবহারকারীর সকল টুইট বছর, মাস এবং তারিখের ক্রমবিন্যাস হিসাবে প্রকাশিত হবে। টুইট বই তৈরির জন্য www.tweetbook.in সাইটে গিয়ে Sign in with Twitterবাটনে ক্লিক করে টুইটারের ইউজার, পাসওয়ার্ড দিয়ে Allow বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে টুইটার ব্যবহারকারীর প্রাধিকার প্রদান শেষে কিছুক্ষণের মধ্যে মূল সাইটে ফিরে আসবে। এবার Generate PDF বাটনে ক্লিক করলে কিছুক্ষণের মধ্যে পিডিএফ ফাইল তৈরি হবে এবং Download PDF লিংক আসবে। এই পিডিএফ ই-বুকটি ডাউনলোড করে নিন। আর পিডিএফ ফাইলটি টুইটারে শেয়ার করতে চাইলে Share ট্যাবে গিয়ে Share Tweet PDF file বাটনে ক্লিক করলে একটি লিংক তৈরি হবে এর ডানে Tweet it বাটনে ক্লিক করুন তাহলে টুইটারে চলে আসে। এখানে update বাটনে ক্লিক করলে আপডেট হবে।

ওয়েব ব্রাউজারেই পড়া যাবে অনলাইনের PDF ফাইল

সাধারণত কোন পিডিএফ রিডার সফটঅয়্যার ইনস্টল দেয়া না থাকলে পিডিএফ ফাইল পড়া যায় না। অনলাইনের কোন পিডিএফ ফাইল পড়তে হলে তাই বেশ ঝামেলাই পড়তে হয়। যদিও অনলাইনেই কিছু কিছু সাইটে পিডিএফ ফাইল পড়া যায়। তবে গুগল ক্রোম বা ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরা চাইলে gPDF নামের একটি প্লাগিন ইনস্টল করেই গুগল ডক্স ভিউয়ারের সাহায্যে পিডিএফ ফাইল পড়তে পারেন। ফায়ারফক্সের জন্য এ্যাড-অন্সটি https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/14814/ থেকে এবং গুগল ক্রোমের জন্য এক্সটেনশনটি https://chrome.google.com/extensions/detail/egljjohbmnnpicoiddaapkpejfpnmmpe থেকে ইনস্টল করে নিন। এরপরে থেকে কোন ওয়েবসাইটের পিডিএফ লিংকে ক্লিক করলে তা সয়ংক্রিয়ভাবে গুগল ডক্স ভিউয়ারে লোড হবে এবং দেখা যাবে।

গুগল অভিধান

অনলাইনে বাংলা ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষার অভিধান রয়েছে। সবকিছুকে ছাপিয়ে সম্প্রতি অবমুক্ত হলো গুগল অভিধান। বর্তমানে গুগলের এই অভিধান ইংরেজিসহ ২৮টি ভাষাতে ব্যবহার করা যাবে। এই সব ভাষা থেকে ইংরেজি এবং ইংরেজি ভাষা থেকে অন্যান্য ভাষাতে শব্দের অনুবাদ জানা যাবে। সার্চের সাথে সাথে (Search Dictionary বাটনে ক্লিক করলে) শব্দের অর্থতো আসবেই সাথে অডিও (উচ্চারণ), সমজাতীয় শব্দসমষ্টি (Related phrases)) এর অর্থ এবং লিংক, অন্য কোন ভাষাতে শব্দের আছে কি না (যদি থাকে), প্রতিশব্দ, পদ (Part of Speech), ছবি (যদি থাকে) এবং ওয়েব সংজ্ঞা (Web definitions) ইত্যাদি দেখা যাবে। আর গুগল একাউন্টে লগইন অবস্থায় অভিধানে সার্চ করলে হিস্ট্রিতে সার্চ করা শব্দগুলো সংরক্ষিত থাকবে এবং পছন্দের শব্দগুলোকে তারকা চিহ্নিত করে রাখা যাবে। আশার কথা হচ্ছে গুগল অনুবাদে (Google Translator) বাংলা ভাষা না থাকলেও গুগল অভিধানে বাংলা ভাষা যুক্ত হয়েছে। ফলে বাংলা ভাষাভাষিদের জন্য বেশ কাজে দেবে। আর এসব ফলাফল দেখাবে ইউনিকোডে। সাইটির ঠিকানা www.google.com/dictionary যাদের কম্পিউটারে ইউনিকোড বাংলা ভাষা কনফিগার করা নেই তারা বাংলা ফলাফল দেখতে পারবেন না। তারা কম্পিউটারে ইউনিকোড বাংলা ভাষা কনফিগার করার পদ্ধতি http://unicodehelpcenter.blogspot.com থেকে জেনে নিতে পারেন।

ওয়েবসাইটে গুগল সার্চ ইঞ্জিন

ইন্টারনেটের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। পৃথিবীর সকল ওয়েব সাইটের ঠিকানাই যেন এখানে সংরক্ষণ করা আছে। হাজার হাজার ওয়েব সাইটে গুগলের সার্চিং সুবিধা যুক্ত আছে। ওয়েব ডেভেলপরা ওয়েব সাইটে ডেভেলপ করার সময় গুগল সার্চ ইঞ্জিন যুক্ত করতে থাকেন। তবে সহজেই আপনি চাইলে আপনার ওয়েব সাইটে বা ব্লগে নিজের নামে গুগলের সার্চিং সুবিধা রাখতে পারেন। এজন্য http://funnylogo.biz ঠিকানাতে ঢুকুন। এবার Step1: Enter Your Name অংশে আপনার নাম (সংক্ষিপ্ত থেকে পছন্দের স্টাইলের অপশন বাটন সিলেক্ট করুন (স্টাইল পছন্দ না হলে আরো স্টাইলের জন্য More Logo Styles and Colors লিংকে ক্লিক করুন, সেক্ষেত্রে Step 3: Choose a Color থেকে পছন্দের রঙ সিলেক্ট করতে পারেন) অবশেষে Create My Search Engine বাটনে ক্লিক করলে আপনার সার্চ ইঞ্জিনের ওয়েব সাইট আসবে। এখন অ্যাড্রেসবার থেকে আপনার সার্চ ইঞ্জিনের ঠিকানা কপি করে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ব্যবহার করতে পারবেন।

অডিও সিডি থেকে MP3 করা

সাধারণভাবে অনান্য ভিডিও বা ডাটা সিডির মত অডিও সিডি থেকে গান হার্ডডিস্কে কপি করা যায় না। এজন্য দরকার হয় সিডি রিপার। উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার দ্বারা সিডি রিপ করা গেলেও তা WMA ফরম্যাটে সেভ হয়। এমপিথ্রি বা অনান্য ফরম্যাটে সেভ করার জন্য বিভিন্ন ফ্রি সিডি রিপার পাওয়া যায়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে Accord CD Ripper। ফ্রিঅয়্যার এই সিডি রিপার দ্বারা সহজেই অডিও গানকে MP3 বা WAV ফরম্যাটে কপি করা যায়। সাথে সাথে গানের মান, ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করা যাবে। ১.৩৬ এমবি’র এই সফটঅয়্যারটি www.accmeware.com থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

বাংলায় গুগল ক্রোম

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ইন্টারনেট ব্রাউজার গুগল ক্রোম অনেক আগেই অবমুক্ত হয়েছে। এখন ইচ্ছে মাতৃভাষা বাংলাতেই গুগল ক্রোম ব্যবহার করা যাবে। বাংলা সংস্করণ ডাউনলোড করার জন্য www.google.com/chrome সাইটে যান এবং উপরের ডান থেকে বাংলা ভাষা নির্বাচন করুন। এবার Google Chrome ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন এবং উপভোগ করুন মাতৃভাষা বাংলায় ভাষায় গুগল ক্রোম।

একই মেসেঞ্জারে একাধিক চ্যাট সুবিধা

ইন্টারনেটে বিভিন্ন মেইলের পাশাপাশি রয়েছে চ্যাট সুবিধা। তবে প্রায় প্রতিটি ফ্রি ই-মেইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের রয়েছে আলাদা আলাদা চ্যাট সুবিধা। চ্যাট করার ক্ষেত্রে ইয়াহুর জন্য ইয়াহু মেসেঞ্জার, হটমেইলে জন্য উইন্ডোজ মেসেঞ্জার ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয়। তবে ইচ্ছে করলে একসাথেই সবগুলো ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে একটি মেসেঞ্জারেই চ্যাট করা সম্ভব। এমনই একটি মেসেঞ্জার হচ্ছে pidgin।ইমেইলের পাশাপাশি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক চ্যাটও করা যায় এ মেসেঞ্জারের মাধ্যমে। মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্সের বিভিনড়ব ডিস্ট্রোতে pidgin মেসেঞ্জারটি দেয়া থাকে। ইচ্ছে করলে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা pidgin ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য www.pidgin.im/download/windows লিংক থেকে ১২.৪ মেগাবাইটের pidgin মেসেঞ্জারটি ডাউনলোড করে নিন। এবার আপনার ব্যবহৃত সবগুলো ই-মেইল ঠিকানা যোগ করে নিন এবং উপভোগ করুন একই মেসেঞ্জারে একাধিক আইডি চ্যাট সুবিধা।

ইউপিএস থেকে বাড়তি সুবিধা

আপনি চাইলে ইউপিএসের কাছ থেকে সুবিধা নিতে পারেন। সাধারণত বিদ্যুৎ চলে গেলে একটি ইউপিএস ১৫-২০ মিনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে। কিন্তু কোনো কাজ যদি এ সময়ের মধ্যে শেষ বা সেভ করতে না পারেন, তবে এ ক্ষেত্রে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের হাইবারনেট সুবিধা আপনাকে বাঁচাবে। কম্পিউটারকে ঘুম পাড়াবে। হাইবারনেট করতে প্রথমে ডেস্কটপে মাউসের ডান ক্লিক করে Properties-এ যেতে হবে। সেখান থেকে Screen saver select করে Power-এ ক্লিক করুন। তারপর Hibernate select করে Enable Hibernatc-এ টিক চিহ্ন দিয়ে OK করুন। আবার Power বাটনে ক্লিক করে Advanced Select করতে হবে। এখন When ও press the sleep button-এ Hibernate select করে OK করুন। যাদের কিবোর্ডে স্লিপ বোতাম নেই, তারা When ও press the power button-এ Hibernabe select করতে হবে। এখন যদি বিদ্যুৎ চলে যায়, তবে Sleep চাপতে হবে (কারও কিবোর্ডে এ বোতামটি না থাকলে কম্পিউটারের Power বোতামটি চাপুন। একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন, কম্পিউটার হাইবারনেটে চলে গেছে। এমন অবস্থায় কম বিদ্যুৎ খরচে কম্পিউটার চালু থাকে। হাইবারনেটের বেশি সময় কম্পিউটার সচল রাখতে চাইলে মনিটর বন্ধ করে রাখতে হবে এবং বিদ্যুৎ চলে এলে কম্পিউটার চালু করুন।

বিভিন্ন সুবিধা মিউজিক ম্যাচে

গান শোনার জন্য মিউজিক ম্যাচ আপনাকে সব ধরনের সুবিধা দেবে। প্রথমে আপনার কম্পিউটারের সকল মিউজিক ফাইল খুঁজে বের করে লাইব্রেরিতে রাখবে। অর্থাৎ আপনার কম্পিউটারে অবস্থিত গানের জায়গা কত এবং মোট কত সময় গান আছে তা দেখাবে লাইব্রেরিতে থাকা অবস্থায় স্ট্যাটাস বারের ডানে। লাইব্রেরি থেকে আপনি পছন্দমত গান নির্বাচন করে শুনতে পারবেন। এখানকার গানে ডাবল ক্লিক করলে উপরের প্লেয়ার(বর্তমান প্লেলিস্ট)তা যুক্ত হবে এবং তা ধারাবাহিকভাবে চলবে।এই প্লেলিস্ট সেভ করা যাবে। এছাড়া লাইব্রেরি থেকে খুব সহজে আপনার পছন্দের গান খুঁজে বের করতে পারবেন। তৈরি করতে পারবেন আপনার পছন্দের পেলিস্ট। গানের ট্যাগ পরিবর্তন করতে পারবেন খুব সহজেই। এছাড়া অডিও সিডি রাইটসহ ডাটা সিডি এবং এমপিথ্রি ফরমেটে রাইট করা যাবে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে পেলিস্ট থেকে সরাসরি সিডি রাইট করা যাবে। সিডি থেকে গান কপি করতে পারবেন এমপিথ্রি বা ওয়েব ফরম্যাটে। কম্পিউটারের থাকা গানের ফরমেট পরিবর্তন করতে পারবেন ওয়েব, এমপিথ্রি বা এমপিথ্রি প্রো থেকে এদের যে কোন ফরমেটে। মোটকথা শুধু অডিও গান শোনাই নয় মিউজিক ম্যাচ জুক বক্স-এ আপনি পাচ্ছেন পরিপূর্ণ গান শোনার সব ধরনের উপাদান। এরসাথে আপনার কম্পিউটারে যদি ইন্টারনেটের সংযোগ থাকে তাহলে এর দ্বারা রেডিও শুনতে পাবেন। সফটঅয়্যারটি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে www.musicmatch.com ওয়েবসাইটে।

ফেসবুকের বন্ধুদের জন্মদিনের তথ্য ক্যালেন্ডারে নেয়া

গুগল ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এসএমএস এর মাধ্যমে রিমাইন্ডার পাওয়া। ফলে জন্মদিন থেকে শুরু করে বিভিনড়ব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার (ইভেন্টের) বিষয় আগে থেকে জানা যায় এসএমএস এর মাধ্যমে। গুগল ক্যালেন্ডারে যদি সহজেই জনপ্রিয় সামাজিক সাইট ফেসবুকের বন্ধুদের জন্মদিন বা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আনা যায় তাহলে কেমন হয়! এজন্য গুগলে এবং ফেসবুকে লগইন অবস্থায় www.fbcal.com সাইটে যান এবং GET YOUR CALENDARS NOW বাটনে ক্লিক করুন। এরপরে ফেসবুকে

অ্যাপিকেশনটি যুক্ত করতে Allow এবং Allow Offline Access করুন। এখন ফেসবুকে যুক্ত হওয়া ফেসবুক ক্যালেন্ডারে দুইটি কলাম পাবেন। বামপাশে ইভেন্ট এবং ডানে বার্থডে। এখন নিচের টাইম জোন ঠিক করে জন্মদিনের ক্যালেন্ডার গুগল ক্যালেন্ডারে নিতে গুগল ক্যালেন্ডার বাটনে ক্লিক করে যুক্ত করুন। এছাড়াও আইক্যালেন্ডার, আউটলুক বা মজিলা সানবার্ডেও নিতে পারবেন। গুগল ক্যালেন্ডারে সরাসরি যুক্ত হতে সমস্যা হলে download a copy here এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে গুগল ক্যালেন্ডারে ইমপোর্ট করুন।

এমপিথ্রি’র মান পরিবর্তন করা

এমপিথ্রি গানের মান নিয়ন্ত্রণ করে অর্থাৎ মান কম বা বেশী করে ফাইলের সাইজ কম বা বেশী করা যায়। এমপিথ্রি গানের সাইজ নিয়ন্ত্রণে ‘এমপিথ্রি কোয়ালিটি মোডিফায়ার’ সফটঅয়্যারটি বেশ কাজের। এই সফটঅয়্যার দ্বারা সহজেই গানের

বিটরেট, ফিকোয়েন্সি পরিবর্তন করে গানের সাইজ কম বা বেশি করা যাবে। মাত্র ৩০০ কিলোবাইটের বহনযোগ্য, ফ্রিঅয়্যার এই সফটঅয়্যারটি www.inspire-soft.net থেকে ডাউনলোড করা যাবে। সফটঅয়্যারটি চালু করে Add Files / Add Folder বাটনে এ ক্লিক করে এমপিথ্রি ফাইলগুলো আনুন। এবার ফাইলগুলোর বামে চেক করে নিচের বিটরেট, ফিকোয়েন্সি ইত্যাদি পরিবর্তন করে Start Process বাটনে ক্লিক করলে (Destination G) ডেক্সটপে Output ফোল্ডারে সেভ হবে।

আশা করি লেখাটি সবার ভাল লেগেছে। যদি একটুও ভাল লেগে থাকে তবে অবশ্যই মন্তব্য করবেন।আপনাদের আলোচনা-সমালোচনা আমাকে আরো লিখতে অনুপ্রানিত করবে। আজ এই পর্যন্ত সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।

কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর ছোট্ট একটি কৌশল

সাধারনত উইন্ডোজ চালিত কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর জন্য আমারা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি যা অনেক সময় গতি না বাড়িয়ে উল্টো আরও গতি কমিয়ে দেয় বা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। এই সমস্যার সমাধান হল কোন অ্যাডিশনাল সফটওয়্যার ব্যবহার না করেই গতি বাড়ানো।

খুব সহজেই কোন অ্যাডিশনাল সফটওয়্যার ছাড়াই কম্পিউটারের গতি বাড়ানো যায়। এজন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র Notepad এবং অবশ্যই উইন্ডোজ চালিত কম্পিউটার।

প্রথমে Notepad টি Open করে শুধুমাত্র mystring=(80000000) লিখে ফাইলটি ram.vbe নামে Desktop-এ Save করুন।

mystring=(80000000)

এবার Start-এর Run-এ গিয়ে regedit লিখে Enter চাপুন। এবার HKEY_CURRENT_USER এর Control Panel এ Double Click করে এর Desktop-এ Single Click করুন। এবার ডান পাশে Desktop-এর Registry গুলো দেখতে পাবেন। সেখান থেকে MenuShowDelay খুজে বের করে নিন এবং Double Click করুন। এবার এর String Editor আসবে। সাধারনত এর Value দেয়া থাকে 400।

regedit

সেখান থেকে এর Value পরিবর্তন করে 0 (শূন্য) করে দিয়ে OK দিন। এবার File-এ যেয়ে Exit দিন এবং কম্পিউটারটি Restart করুন। কম্পিউটার পুনরায় চালু হলে Desktop থেকে ram.vbe ফাইলটিতে Double Click করুন। এটি Background এ কাজ করে, তাই Double Click করলেই এটি কাজ করা শুরু করবে, আলাদাভাবে আর কিছু Open হবেনা। আপনি চাইলে ram.vbe ফাইলটিকে Startup-এ রেখে দিতে পারেন। ফলে প্রতিবার কম্পিউটার চালু হলে ফাইলটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে, বারবার ওপেন করার আর কোন ঝামেলা থাকবেনা। তাছাড়া Desktop-এর সৌন্দর্য বজায় রাখতে চাইলে ফাইলটি হাইড করেও রাখতে পারেন।

এবার আপনি Start Menu বা যে কোন Menu তে যেয়ে দেখুন আগের থেকে অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করবে। :D

সহজেই ডুপলিকেট ফাইল ডিলিট করে হার্ডডিস্কে জায়গা সাশ্রয় করুন

অনেক সময় দেখা যায় একই ফাইলের কপি ভিন্ন ফোল্ডার অথবা ড্রাইভে থাকে। এতে করে হার্ডিস্কের মূল্যবান যায়গা নস্ট হয় অনেক সময় পিসি স্লো হয়ে যায়। আর যাদের হার্ডিস্কে যায়গা কম তাদের জন্য এটি মোটেও সুখকর নয়। ডুপলিকেট ফাইল খুঁজে বের ডিলিট করার জন্য বেশ কিছু ফ্রী সফটওয়্যার রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে Easy Duplicate Finder যথেস্ট মানসম্মত এবং কার্যকর।

2010-06-05_035443

ফিচার সমূহঃ

ডুপলিকেট ফাইল খুঁজে পেতে এই সফটওয়্যার বাইনারি সিস্টেমে প্রতিটি বাইট চেক করে। স্ক্যান সেটিংস পরিবর্তন করে আপনি এই সার্চকে আরও কার্যকর করতে পারেন। নির্দিস্ট ফোল্ডার অথবা ড্রাইভে সার্চ করার সুযোগও এতে রয়েছে। এটি ইউনিকোড সাপোর্টেড এবং স্ক্যানের সময় সিস্টেম ফাইলগুলো সহজেই এড়িয়ে যায়।

2010-06-05_041342

System Requirements

  1. OS: Windows 2000/XP/Vista/Windows 7
  2. CPU: 400 MHz or higher
  3. RAM: 128 MB or more
  4. Hard Drive: 5 MB of free space

ডাউনলোড